বিএড ২০২২ ব্যাচের প্রাথমিক শিক্ষা এর (EDBN-2451) নির্ধারিত কাজ ১

# এটি নির্ধারিত কাজ এর একটি নমুনা। কেমন হয়েছে দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, ধন্যবাদ।  # 

শিখন ও শিখন যাচাই (EDBN-2401) এর নির্ধারিত কাজ-১

শিখন ও শিখন যাচাই (EDBN 2401) এর নির্ধারিত কাজ-২

একীভূত শিক্ষা (EDBN-2402) এর নির্ধারিত কাজ-১

একীভূত শিক্ষা (EDBN - 2402) নির্ধারিত কাজ ২

প্রাথমিক শিক্ষা এর (EDBN-2451) নির্ধারিত কাজ ১

প্রাথমিক শিক্ষা এর (EDBN-2451) নির্ধারিত কাজ ২


কোর্সের নাম: প্রাথমিক শিক্ষা

কোর্স কোডঃ EDBN-2451

নির্ধারিত কাজ:২

"মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষাক্রম প্রনয়নে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার মূল্যায়ন কৌশলসমূহের গুরুত্ব বিশ্লেষণ।”


★ ভূমিকাঃ 

শিক্ষার মান বৃদ্ধি ও শিক্ষার্থীদের মৌলিক দক্ষতা উন্নযনের জন্য প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার ভূমিকা অপরিহার্য। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা শিশুদের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও বৌদ্ধিক বিকাশের ভিত্তি স্থাপন করে। এজন্য প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের গুণগত মান বজায় রাখতে হলে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার যথাযথ মূল্যায়ন কৌশল গুরুত্বপূর্ণ। মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষাক্রম প্রণযনে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার মূল্যায়ন কৌশলসমূহ বড় ভূমিকা পালন করে। শিশুর ভবিষ্যতের জন্য একটি শক্ত ভিত্তি তৈরি করতে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা আবশ্যক। এর ফলে একটি সুষ্ঠু ও কার্যকর শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে ওঠে যা শিশুর সামগ্রিক উন্নয়নে সহায়ক।

★ প্রাথমিক শিক্ষাক্রমঃ 

প্রাথমিক শিক্ষাক্রম হল একটি কাঠামো বা পরিকল্পনা যা শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক স্তরের শিক্ষায অর্জন করতে হয় এমন জ্ঞান, দক্ষতা এবং মানের একটি সেট নির্দেশ করে। এটি সাধারণত একটি দেশের বা অঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থার প্রথম ধাপ, যেখানে শিক্ষার্থীরা মূলত ৫ থেকে ১১ বা ১২ বছর বয়স পর্যন্ত পড়াশোনা করে।

বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের মূল লক্ষ্য হল শিশুদের মৌলিক জ্ঞান প্রদান করা, যা তাদের ভবিষ্যতের শিক্ষার ভিত্তি গড়ে তোলে। এই শিক্ষাক্রমে সাধারণত নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে:

বাংলা: মাতৃভাষার জ্ঞান এবং এর সঠিক ব্যবহার শেখানো।

ইংরেজি: বুনিয়াদি ইংরেজি শেখা এবং এর ব্যবহার।

গণিত: গণনার বুনিয়াদি কৌশল এবং সমস্যার সমাধান।

বিজ্ঞান: প্রাথমিক বিজ্ঞান ধারণা এবং প্রাকৃতিক জগত সম্পর্কে জ্ঞান।

সমাজ ও পরিবেশ: দেশের ইতিহাস, ভূগোল, এবং সামাজিক নীতিমালা সম্পর্কে শিক্ষা।

ধর্ম: শিক্ষার্থীর ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং নীতি।

শারীরিক শিক্ষা: শরীরচর্চা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনের ধারণা।

প্রাথমিক শিক্ষাক্রম শিশুদের মধ্যে চিন্তা করার ক্ষমতা, সৃজনশীলতা, এবং সামাজিক দাযিত্ববোধ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে গড়ে ওঠে।

Checked 


★ মান সম্মত প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের বৈশিষ্ট্যঃ 

মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষাক্রম বলতে এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা বোঝায় যা শিশুদের সার্বিক বিকাশ নিশ্চিত করে। এটি শিশুর মেধা, মনন, শারীরিক স্বাস্থ্য, সামাজিক এবং মানসিক বিকাশে সহায়ক হয়। 
মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের কয়েকটি মূল বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:

১. সন্তুলিত পাঠ্যক্রম: পাঠক্রম এমন হতে হবে যা শুধু একাডেমিক শিক্ষা নয় বরং শিশুর সৃজনশীলতা, সমালোচনামূলক চিন্তাশক্তি, এবং সমস্যার সমাধান করার দক্ষতা বাড়ায়।

২. শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক পদ্ধতি: শিক্ষার্থীদের আগ্রহ, প্রযোজন এবং সামর্থ্য অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

৩. মূল্যবোধ এবং নৈতিক শিক্ষা: প্রাথমিক শিক্ষায় নৈতিকতা, সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ, এবং মানবিক মূল্যবোধ শেখানো উচিত।

৪. শিক্ষক ও শিক্ষার গুণমান: দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শেখার প্রক্রিযাকে সহজ এবং আনন্দময় করে তোলেন।

৫. পর্যাপ্ত শারীরিক ও মানসিক পরিচর্যা: শিশুদের শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ও আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর ব্যবস্থা থাকতে হবে। 

৬. সবার জন্য সমান সুযোগ: শিক্ষাক্রম এমনভাবে ডিজাইন করা উচিত যাতে সব ধরনের শিক্ষার্থী, বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য শিক্ষার সমান সুযোগ থাকে। 

৭. সৃজনশীল শিক্ষণ কৌশলঃ
পাঠ্যক্রমে নতুন প্রযুক্তি এবং সৃজনশীল পদ্ধতির ব্যবহার যেমন: অডিও-ভিজ্যুযাল মাধ্যম, গেম ভিত্তিক শিক্ষণ প্রক্রিযা ইত্যাদি থাকতে পারে।

এই ধরনের শিক্ষাক্রম শিশুদের একটি শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করে, যা ভবিষ্যতের শিক্ষার জন্য প্রযোজনীয়।

★ প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাঃ

প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা হল শিক্ষার প্রাথমিক স্তরের আগের খাপ, যা সাধারণত ৩ থেকে ৬ বছর বয়সী শিশুদের জন্য নির্ধারিত। এই স্তরের শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো শিশুর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ নিশ্চিত করা, যাতে তারা পরবর্তী শিক্ষার ধাপগুলিতে প্রবেশ করার জন্য উপযুক্ত হয়।

প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে মৌলিক সামাজিক দক্ষতা, শৃঙ্খলা, সহযোগিতা, সৃজনশীলতা এবং আত্মবিশ্বাসের বিকাশ ঘটানো হয়। এছাড়াও, এই স্বরে শিশুদের ভাষা দক্ষতা, গণিতের মৌলিক ধারণা এবং হাতের সমন্বয় ক্ষমতা (fine motor skills) উন্নত করা হয়।

checked

বাংলাদেশে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এই শিক্ষার প্রসারে কাজ করছে। শিক্ষাব্যবস্থায প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা শিশুরা ভবিষ্যতে ভালো ফলাফলের জন্য একটি মজবুত ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

★ প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার মূল্যায়ন কৌশলসমূহঃ 
প্রাথমিক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার মূল্যায়ন শিক্ষার্থীদের শিখন অগ্রগতি, দক্ষতা এবং মানসিক বিকাশ পর্যালোচনা করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা সাধারণত শিখন প্রক্রিয়ার প্রাথমিক স্তরে থাকে, তাই মূল্যায়নের কৌশলগুলিকে সহজ এবং মজার হতে হয়।  এখানে কিছু সাধারণ মূল্যায়ন কৌশল দেওয়া হলোঃ 

১. পর্যবেক্ষণ (Observation) 
শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক আচরণ এবং কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে তাদের জ্ঞান, দক্ষতা এবং আচরণ সম্পর্কে ধারণা নেয়া হয়। খেলাধুলা, ছবি আঁকা বা সাধারণ শিখন কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের শিখন দক্ষতা এবং সামাজিক বিকাশ মূল্যায়ন করা যায়।

২. প্রশ্নোত্তর পদ্ধতি (Questioning)
প্রশ্ন করে শিশুদের ধারণা, মনোযোগ এবং চিন্তা করার দক্ষতা মূল্যায়ন করা হয়। শিশুদের সাথে আলোচনা করে তাদের চিন্তাভাবনা এবং শেখার অগ্রগতি যাচাই করা যায়।

৩. কার্যনির্ভর মূল্যায়ন (Performance-Based Assessment) 
শিশুদের বিভিন্ন কার্যকলাপের মাধ্যমে যেমন ছবি আঁকা, খেলাধুলা, গল্প বলার মাধ্যমে তাদের শিখন দক্ষতা যাচাই করা হয়। এটি তাদের সৃজনশীলতা এবং সমস্যার সমাধানের দক্ষতা মূল্যায়নে সহায়ক।

৪. গল্প বলা ও পুনরাবৃত্তি (Storytelling and Recitation) 
শিক্ষার্থীরা গল্প শোনার পরে তা পুনরাবৃত্তি করলে তাদের মনোযোগ, শ্রবণশক্তি এবং স্মৃতিশক্তি মূল্যায়ন করা হয়। এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের ভাষা দক্ষতাও উন্নত হয়। 

৫. সহযোগী কার্যক্রম (Collaborative Activities)ঃ

দলগত কাজের মাধ্যমে শিশুদের সামাজিক দক্ষতা, যোগাযোগের দক্ষতা এবং সহযোগিতার মান মূল্যায়ন করা হয়। শিশুদের একসঙ্গে কাজ করতে দেওয়া হলে তাদের সামাজিক বিকাশের অগ্রগতি মূল্যায়ন করা যায়।

৬. চিত্র ও রঙ ব্যবহার (Drawing and Coloring)

শিশুরা তাদের ধারণা এবং অনুভূতি চিত্র এবং রঙের মাধ্যমে প্রকাশ করে। তাদের মানসিক ও সৃজনশীল দক্ষতা পর্যালোচনার জন্য এটি খুবই কার্যকর পদ্ধতি।

Checked

৭. শেখা কার্ড বা ফ্ল্যাশকার্ড (Flashcards)ঃ
 বিভিন্ন রঙ, সংখ্যা, বর্ণ বা ছবি ব্যবহার করে শিশুদের শেখার দক্ষতা এবং তথ্য সংরক্ষণ ক্ষমতা যাচাই করা হয়।

৮. খেলা-ভিত্তিক মূল্যায়ন (Play-Based Assessment)ঃ বিভিন্ন শারীরিক খেলা এবং ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে  শিশুদের শারীরিক মানসিক ও দক্ষতা মূল্যায়ন করা হয়। যেমন, পাজল সমাধান করা, ব্লক গেম ইত্যাদি। 

৯. অভিভাবক ও শিক্ষক পর্যালোচনা (Parent and Teacher Feedback) অভিভাবক এবং শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করে শিশুর ঘরের বাইরে এবং ভেতরের আচরণ সম্পর্কে মূল্যায়ন করা হয়। এটি একটি সমন্বিত মূল্যায়ন পদ্ধতি যেখানে শিক্ষক এবং অভিভাবকের মতামত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

এগুলো ছাড়াও, শিক্ষার্থীদের আগ্রহ এবং উন্নতির উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন সৃজনশীল মূল্যায়ন কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে। 

★ প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার মূল্যায়ন কৌশলগুলোর গুরুত্বঃ

প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা একটি শিশুর মৌলিক বিকাশের প্রথম ধাপ, যেখানে তাদের সামাজিক, মানসিক ও শারীরিক উন্নয়ন ঘটে। মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষাক্রম প্রণয়নে কার্যকরী মূল্যায়ন কৌশল গুরুত্বপূর্ণ পালন করে। 
নিচে এই কৌশলগুলোর গুরুত্ব বিশ্লেষণ করা হলো:  

১. শিশুর উন্নয়ন পর্যবেক্ষণ: 
প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষায় মূল্যায়ন কৌশল শিশুদের দক্ষতা, আগ্রহ এবং শিখন প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে আসা সমস্যা শনাক্ত করতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে শিক্ষক বা educators তাদের পাঠ্যক্রম সামঞ্জস্য করে নিতে পারেন। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার একটি প্রধান লক্ষ্য শিশুদের শারীরিক এবং মানসিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করা। শিশুদের শারীরিক গঠন, সমন্বয়, এবং মোট দক্ষতার বিকাশ পর্যালোচনার মাধ্যমে শিক্ষাক্রমের উপযুক্ততা নির্ধারণ করা যায়। একইসাথে তাদের মানসিক এবং সামাজিক দক্ষতাগুলোর বিকাশ পর্যবেক্ষণও গুরুত্বপূর্ণ। 

২. শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণ:
মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের জন্য প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার মূল্যায়ন নিশ্চিত করে যে শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় মৌলিক দক্ষতা অর্জন করছে, যা পরবর্তীতে তাদের প্রাথমিক শিক্ষার জন্য ভিত্তি রচনা করে। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রমের জন্য তারা প্রস্তুতি নিতে পারে। মূল্যায়ন কৌশলগুলো শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক, ভাষাগত, এবং গণিতের প্রাথমিক ধারণা বিষয়ে কতটা সক্ষম হচ্ছে তা যাচাই করে। 

Checked


৩. সামাজিক ও আবেগীয় দক্ষতা মূল্যায়নঃ 

এই পর্যায়ে শিশুদের সামাজিক আচরণ, বন্ধুত্ব গঠন, সহযোগিতার মনোভাব, এবং আবেগীয় সংবেদনশীলতা বিকাশ পায়। মূল্যায়ন কৌশলগুলো শিশুদের সামাজিক দক্ষতা এবং আবেগীয় উন্নয়ন নির্ণয় করতে সাহায্য করে, যা তাদের ভবিষ্যৎ শেখার অভিজ্ঞতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

৪. শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত চাহিদা বোঝা: প্রতিটি শিশু আলাদা, তাদের শিখন স্টাইল ও প্রয়োজন ভিন্ন। কার্যকরী মূল্যায়ন কৌশল শিক্ষকদের শিশুদের ব্যক্তিগত চাহিদা ও আগ্রহ বুঝতে সাহায্য করে এবং সেই অনুযায়ী শিক্ষণ পদ্ধতি পরিবর্তন করতে সক্ষম করে।

৫. পাঠ্যক্রমের মান মূল্যায়ন: প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের গুণগত মান যাচাই করা মানসম্মত শিক্ষার ভিত্তি। পাঠ্যক্রম শিশুদের শিখন ক্ষমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা নিয়মিত মূল্যায়নের মাধ্যমে জানা যায়। এটি শিক্ষাক্রমের প্রয়োজনীয় সংস্কার বা উন্নয়নের সুযোগ প্রদান করে। 

৬. পরিবারের সম্পৃক্ততার গুরুত্ব: পরিবারের অংশগ্রহণ প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মূল্যায়নের মাধ্যমে পরিবারগুলোর শিক্ষার প্রক্রিয়ায় কতটা সম্পৃক্ততা রয়েছে তা নির্ণয় করা সম্ভব হয় এবং এর ভিত্তিতে তাদের আরও সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণের জন্য উৎসাহিত করা যায়। মূল্যায়নের ফলাফল শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে একটি কার্যকর যোগাযোগ তৈরিতে সহাযতা করে, যা শিক্ষার্থীর উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। 

৭. রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা: শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ এবং নীতি প্রণযনে প্রযোজনীয় ডেটা ধারণ করে যাতে প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ "উন্নত পাঠ্যক্রম ও নীতিমালা প্রণয়ন" করতে পারে। 

৮. শিশুদের জন্য ইতিবাচক শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি: যখন শিক্ষা ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় উৎসাহ দেওয়া হয় তখন শিশুরা শিখতে আরও আগ্রহী হয়, যা তাদের সৃজনশীলতা এবং স্বাধীন চিন্তাকে উন্মোচন করে।

৯. নিরীক্ষণ ও উন্নয়ন পরিকল্পনাঃ
প্রাথমিক শিক্ষাক্রম প্রণয়নে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার মূল্যায়ন কৌশলগুলো শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে কোন কোন ক্ষেত্রগুলোতে উন্নয়ন প্রয়োজন তা সনাক্ত করে। এতে করে শিক্ষার গুণগত মান উন্নত করার জন্য সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা সহজ হয়।

★ উপসংহার:

মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষাত্রুম প্রণয়নে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার মূল্যায়ন কৌশলসমূহ একটি ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে কাজ করে, যা শিশুদের শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, এবং শিক্ষাগত দক্ষতাগুলোর বিকাশ নিশ্চিত করে। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার সঠিক মূল্যায়ন কৌশল প্রযোগ করে প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের মান উন্নত করা সম্ভব। শিশুদের বিকাশের জন্য মানসম্মত শিক্ষাক্রম ও মূল্যায়ন কৌশলসমূহ একটি অপরিহার্য উপাদান। 


Checked






































Comments

Popular posts from this blog

বিএড ২০২২ ব্যাচের একীভূত শিক্ষা (EDBN-2402) নির্ধারিত কাজ ১

বিএড ২০২২ ব্যাচের শিখন ও শিখন যাচাই (EDBN-2401) নির্ধারিত কাজ ১

বিএড ২০২২ ব্যাচের প্রাথমিক শিক্ষা এর (EDBN-2451) নির্ধারিত কাজ ২