৯ম-১০ম বিজ্ঞান ২য় অধ্যায় "জীবনের জন্য পানি" পাঠ ২.১

 ৯ম-১০ম শ্রেণী 

বিজ্ঞান 

দ্বিতীয় অধ্যায়

জীবনের জন্য পানি


সংশ্লিষ্ট পাঠসমূহ

২.১.১ পানির ধর্ম

২.১.২ পানির উৎস

২.১.৩ জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা

২.১.৪ জলজ প্রাণীর জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা


২.১.১-২.১.২ পানির ধর্ম ও উৎস 

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর


প্রশ্ন ১। স্ফুটনাঙ্ক কাকে বলে? (রা. বো. '২৪: দি, বো. ২৪; কু. বো, '২৩)
উত্তর: বায়ুমন্ডলীয় চাপে কোনো তরল পদার্থ যে তাপমাত্রায় বাষ্পে পরিণত হয় সে তাপমাত্রাই হলো ঐ তরল পদার্থের স্ফুটনাঙ্ক।

প্রশ্ন ২। গলনাঙ্ক কাকে বলে? (ঢা. বো., সি. বো., দি. বো., ম. বো. '২৩; চ. বো, '২৩, '১৭: কু. বো, চ. বো, '১৬)
উত্তর: যে তাপমাত্রায় একটি কঠিন পদার্থ তরল পদার্থে পরিণত হয় তাকে ঐ পদার্থের গলনাঙ্ক বলে।

প্রশ্ন ৩। সার্বজনীন দ্রাবক কাকে বলে? (ঢা. বো,, রা, বো,, সি. বো, '২৩; এ বো, '১৭)
উত্তর: যেসব দ্রাবক সব ধরনের পদার্থকে দ্রবীভূত করতে পারে তাকে সার্বজনীন দ্রাবক বলে। 
যেমন- পানি।

প্রশ্ন ৪। বিশুদ্ধ পানির pH মান কত? [সি. বো. '২০; কু. বো. '১৭]
উত্তর: বিশুদ্ধ পানির pH মান 7।

প্রশ্ন ৫। লোনা পানি কাকে বলে? [কু. বো. '১৯]
উত্তর: যে পানিতে লবণের পরিমাণ বেশি তাকে লোনা পানি বলে।

প্রশ্ন ৬। Marine water কী? 
উত্তর: Marine water হলো সমুদ্রের লোনা পানি।

প্রশ্ন ৭। পানির সংকেত কি?
উত্তর: পানির সংকেত হলো H₂O।

প্রশ্ন ৮। পানির অণু কী আকারে থাকে?
উত্তর: পানির অণু ক্লাস্টার আকারে থাকে।

প্রশ্ন ৯। পানির স্ফুটনাঙ্ক কত?
উত্তর: পানির স্ফুটনাঙ্ক 100°C.


অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর


প্রশ্ন ১। পানিকে সর্বজনীন দ্রাবক বলা হয় কেন?(দি. বো, '২৪; ব. বো, দি, বো '২৩: সি. বো, '১৬; চ. বো. ১৫;) 

উত্তর: পানির একটি বিশেষ ধর্ম হলো এটি বেশির ভাগ অজৈব যৌগ ও জৈব যৌগকে দ্রবীভূত করতে পারে। পানির এ বৈশিষ্ট্য অন্যান্য দ্রাবকে অনুপস্থিত। তাই পানিকে সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয়।

প্রশ্ন ২। বিশুদ্ধ পানিতে বিদ্যুৎ পরিবাহিত হয় না কেন?
(রা. বো. '২০)
উত্তর: পানিতে লবণ কিংবা এসিডের মতো তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ দ্রবীভূত থাকলে বিদ্যুৎ পরিবাহিত হয়। কিন্তু বিশুদ্ধ পানিতে এ ধরনের লবণ বা এসিড দ্রবীভূত না থাকার কারণে বিশুদ্ধ পানি বিদ্যুৎ পরিবহন করে না।

প্রশ্ন ৩। পানিকে উভধর্মী পদার্থ বলা হয় কেন?
উত্তর: পানিকে উভধর্মী বলা হয়। উভধর্মী বলতে এমন যৌগ বুঝায় যা অম্ল ও ক্ষারক উভয় হিসেবে কাজ করে। পানি কখনো অম্ল, কখনো ক্ষারক হিসেবে কাজ করায় পানিকে উভধর্মী বলা হয়।


সংক্ষিপ্ত-উত্তর প্রশ্নোত্তর

২.১.১ পানির ধর্ম

প্রশ্ন ১। পানির আরেক নাম জীবন বলা হয় কেন?

উত্তর: মানুষের শরীরের ৬০ – ৭৫ ভাগই হচ্ছে পানি। তাই আমাদের বেঁচে থাকার জন্য পানি অপরিহার্য। পানির অভাবে জীবের দেহের বিপাকীয় কাজগুলো ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাবে। এর ফলে জীব মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে। তাই কোনো জীবকে বাঁচাতে হলে দ্রুত পানি সরবরাহ করতে হয়। এ কারণে পানির আরেক নাম জীবন বলা হয়।

প্রশ্ন ২। পানির দুটি ধর্ম উল্লেখ কর।

উত্তর: পানির দুটি ধর্ম হলো-

১. পানি একটি উভধর্মী পদার্থ ও

২. পানি সর্বজনীন দ্রাবক।

প্রশ্ন ৩। পানির ঘনত্ব বলতে কী বোঝায়?

উত্তর: পানির ঘনত্ব বলতে সাধারণত প্রতি একক আয়তনে পানির ভর বুঝায় অর্থাৎ এক একক আয়তনে কতটুকু পানি আছে। পানির ঘনত্ব তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল। ৪°C(চার ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপমাত্রায় পানির ঘনত্ব সর্বোচ্চ হয় এবং তা হলো ১ গ্রাম/ঘন-সেন্টিমিটার বা ১০০০ কেজি/ঘন-মিটার। অর্থাৎ ১ সি সি পানির ভর ১ গ্রাম বা ১ কিউবিক মিটার পানির ভর হলো ১০০০ কেজি।

প্রশ্ন ৪। বিশুদ্ধ পানির দুটি বৈশিষ্ট্য লিখ।

উত্তর: বিশুদ্ধ পানির দুটি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ-

১. বিশুদ্ধ পানি স্বাদহীন, গন্ধহীন ও বর্ণহীন।

২. বিশুদ্ধ পানি বিদ্যুৎ বা তড়িৎ পরিবহন করে না।

প্রশ্ন ৫। কত ডিগ্রি তাপমাত্রায় পানির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি?

উত্তর: পানির ঘনত্ব তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল। ৪° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পানির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। এক্ষেত্রে ১ সি.সি. পানির ভর হলো ১ গ্রাম।  ১ কিউবিক মিটার বা ঘনমিটার পানির ভর হলো ১০০০ কেজি।

প্রশ্ন ৬। এক কিউবিক মিটার পানির ভর কত?

উত্তর: ৪° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পানির ঘনত্ব সর্বোচ্চ আর তা হলো ১ গ্রাম/সি.সি বা ১০০০ কেজি/ঘনমি.। অর্থাৎ ১ সি. সি. পানির ভর হালো ১ গ্রাম বা ১ ঘনমিটার (১ কিউবিক মিটার) পানির ভর হলো ১০০০ কেজি।

প্রশ্ন ৭। পানি কী ধরনের যৌগ?

উত্তর: পানি একটি উভধর্মী পদার্থ হিসেবে কাজ করে। সাধারণত এসিডের উপস্থিতিতে পানি ক্ষার হিসেবে এবং ক্ষারের উপস্থিতিতে এসিড হিসেবে কাজ করে। তবে বিশুদ্ধ পানি পুরোপুরি নিরপেক্ষ অর্থাৎ এর pH হলো 7।

প্রশ্ন ৮। বিশুদ্ধ পানিকে নিরপেক্ষ বলা হয় কেন?

উত্তর: আমরা জানি, যেসব যৌগের pH মান ৭.০ সেটি নিরপেক্ষ যৌগ। অর্থাৎ, নিরপেক্ষ যৌগের pH মান ৭.০। যেহেতু বিশুদ্ধ পানির pH মান ৭, সে কারণে বিশুদ্ধ পানিকে পুরোপুরি নিরপেক্ষ বলা হয়।

প্রশ্ন ৯। পানির গঠন লিখ।

উত্তর: পানি একটি যৌগ। দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু ও একটি অক্সিজেন পরমাণু দিয়ে পানির একটি অণু গঠিত হয়। পানিয় সংকেত হলো H₂O। এর গাঠনিক সংকেত রূপ হলো-




প্রশ্ন ১০। পরীক্ষাগারে কীভাবে পানি তৈরি করা যায়?

উত্তর: পানি দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু আর একটি অক্সিজেন পরমাণু নিয়ে গঠিত। এজন্য, পরীক্ষাগারে পানি তৈরির জন্য দুটি হাইড্রোজেন পরমাণু ও একটি অক্সিজেন পরমাণু নিয়ে বিক্রিয়া ঘটানো হলে পানি তৈরি হবে।


২.১.২ পানির উৎস

প্রশ্ন ১১। পানি কোন কোন উৎস থেকে পাওয়া যায়- ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: পৃথিবী পৃষ্ঠের ৭৫ ভাগই হচ্ছে পানি। এই পানির সহজলভ্য সবচেয়ে বড় উৎস হচ্ছে সাগর, মহাসাগর বা সমুদ্র। পৃথিবীতে যত পানি আছে তার শতকরা ৯০ ভাগেরই উৎস হচ্ছে সমুদ্র। পানির আরেকটি বড় উৎস হলো হিমবাহ তুষার স্রোত, যেখানে পানি মূলত বরফ আকারে থাকে। এই উৎসে শতকরা প্রায় ২ ভাগের মতো পানি আছে। অন্যদিকে ব্যবহার উপযোগী পানির উৎস হলো নদনদী, খালবিল, হ্রদ, পুকুর কিংবা ভূগর্ভস্থ পানি।

প্রশ্ন ১২। সমুদ্রের পানিকে লোনা পানি বলা হয় কেন? 

উত্তর: যে পানিতে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে তাকে লোনা পানি বলে। সমুদ্রের পানিতে প্রচুর লবণ থাকে। এজন্য সমুদ্রের পানিকে লোনা পানি বলা হয়। 

প্রশ্ন ১৩। সমুদ্রের পানি লোনা হয় কেন?

উত্তর: সমুদ্রের পানিতে সোডিয়াম ক্লোরাইড, ক্যালসিয়াম ক্লোরাইডসহ বিভিন্ন রকম লবণ বেশি পরিমাণে মিশ্রিত থাকায় এই পানি লোনা। সমুদ্রের পানিতে প্রায় ২.৫% লবণ থাকে।

প্রশ্ন ১৪। পানির দুটি বড় উৎসের নাম লিখ।

উত্তর: পানির দুটি বড় উৎস হলো-

১. সাগর ও 
২. হিমবাহ তুষার স্রোত।

প্রশ্ন ১৫। কোন কোন উৎস থেকে ব্যবহার উপযোগী পানি পাওয়া যায়?

উত্তর: ব্যবহার উপযোগী পানির উৎস হলো খাল-বিল, নদী-নালা, হ্রদ, পুকুর কিংবা ভূগর্ভস্থ পানি।

প্রশ্ন ১৬। সমুদ্রের পানি পানের অনুপযোগী কেন?

উত্তর: পৃথিবীতে যত পানি আছে তার প্রায় শতকরা ৯০ ভাগেরই উৎস হচ্ছে সমুদ্র। সমুদ্রের পানিতে প্রচুর পরিমাণে লবণ থাকে। আর পান করার জন্য লবণান্ত পানি উপযুক্ত নয়। এ কারণেই অর্থাৎ সমুদ্রের পানিতে লবণ থাকায় সমুদ্রের পানি পানের অনুপযোগী।

প্রশ্ন ১৭। কোন কোন কাজে পানি দরকার হয়?

উত্তর: আমাদের দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে পানি দরকার হয়। যেমন-আমাদের বাসায় রান্না থেকে শুরু করে কাপড় ধোয়া, গোসল করা, পান করা ইত্যাদি কাজে পানি ব্যবহার করি। এছাড়াও কৃষি কাজের ক্ষেত্রে মাঠে ফসল ফলাতেও পানির দরকার হয়।

প্রশ্ন ১৮। বাংলাদেশের ভূগর্ভস্থ পানি পানের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে কেন?

উত্তর: ভূগর্ভস্থ পানি হচ্ছে মিঠা পানির মূল উৎস। অর্থাৎ ভূ-গর্ভস্থ পানি আমাদের নানা ধরনের কাজে ব্যবহার উপযোগী। কিন্তু ভূগর্ভে আর্সেনিক নামক ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ থাকায় বাংলাদেশের বিস্তৃত এলাকার ভূগর্ভের পানি পানের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।



২.১.৩ জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা 

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন 


প্রশ্ন ৪। জলজ প্রাণীরা কীভাবে তাদের শ্বাস-প্রশ্বাস চালায়? ব্যাখ্যা কর। (রা. বো. '২৪)
উত্তর: জলজ প্রাণীরা তাদের ফুলকার সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাস চালায়। 
এক্ষেত্রে তারা পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন থেকেই শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পেয়ে থাকে। এদের ফুলকা এমনভাবে তৈরি যে এটি শুধু পানি থেকেই অক্সিজেন নিতে পারে, বাতাস থেকে নয়।

প্রশ্ন ৫। কচুরিপানা, শাপলা উদ্ভিদের কান্ড নরম হওয়ার সুবিধা লেখ।(য. বো, '২৪)

উত্তর: কচুরিপানা, শাপলা প্রভৃতি উদ্ভিদ হলো জলজ উদ্ভিদ। এসব জলজ উদ্ভদের কান্ড আর অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ খুব নরম হয়, যেটা পানির স্রোত আর জলজ প্রাণীর চলাচলের সাথে মানানসই। পানি ছাড়া শুকনো মাটিতে এদের জন্ম হলে এরা ভেঙে পড়ত এবং বেড়ে উঠতে পারত না। এমনকি বাঁচতেও পারত না। এটাই হলো কচুরিপানা, শাপলা উদ্ভিদের কান্ড নরম হওয়ার সুবিধা।

প্রশ্ন ৬। জলজ উদ্ভিদের কান্ড নরম হয় কেন? ব্যাখ্যা কর। (ব. বো, '২৪)

উত্তর: জলজ উদ্ভিদের সমস্ত দেহ পানির সংস্পর্শে থাকায় এদের কান্ড এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ খুব নরম হয় যা পানির স্রোত ও জলজ প্রাণীর চলাচলের সঙ্গে মানানসই। জলে থাকার কারণে জলজ উদ্ভিদকে স্রোতের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হয়। তাই যাতে স্রোতের ফলে এবং জলজ প্রাণীদের নড়াচড়ায় তারা ভেঙে না যায় এজন্য তাদের কান্ড নরম হয়।

প্রশ্ন ৭। ইলিশ মাছ কেন নদীতে আসে? ব্যাখ্যা কর।(সি. বো., ম. বো, '২৪; ঢা. বো., য. বো., সি. বো. '২৩: সি. বো. '২০; রা. বো.'১৯: কু. বো. ১৯ '১৬; চ. বো. '১৬; সি. '২৪; ম. বো. '২৪)

উত্তর: ইলিশ মাছ ডিম ছাড়ার সময় মিঠা পানিতে আসে। ইলিশ সামুদ্রিক মাছ অর্থাৎ লবণাক্ত পানির মাছ হলেও ডিম ছাড়ার সময় অর্থাৎ প্রজননের সময় মিঠা পানিতে আসে কারণ হলো সমুদ্রের পানিতে প্রচুর পরিমাণে লবণ থাকে যা ডিমকে নষ্ট করে ফেলে। ফলে ঐ ডিম থেকে আর পোনা মাছ তৈরি হতে পারে না। তাই প্রকৃতির নিয়মেই ইলিশ মাছ ডিম ছাড়ার সময় হলে মিঠা পানিতে আসে।

প্রশ্ন ৮। জলজ উদ্ভিদ পানির স্রোতে ভেঙে যায় না কেন? (কু. বো. '১৭; ঢা. বো. '১৬;) 
উত্তর: জলজ উদ্ভিদসমূহ সারা দেহের মাধ্যমে পানিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান বিশেষ করে খনিজ লবণ সংগ্রহ করে থাকে। তাই এদের সমগ্র দেহ পানির সংস্পর্শে থাকে এবং এদের কান্ড ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ খুব নরম হয় যা পানির স্রোত ও জলজ প্রাণীর চলাচলের সাথে মানানসই। এ কারণেই জলজ উদ্ভিদ পানির স্রোতে ভেঙে যায় না।

প্রশ্ন ৯। জলজ উদ্ভিদের ২টি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
উত্তর: জলজ উদ্ভিদের ২টি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:

১. মূল খুব ছোট থাকে এবং মূলরোম থাকে না।

২. বায়ুথলি থাকে বলে পানিতে ভাসে।


সংক্ষিপ্ত-উত্তর প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১৯। পাঁচটি জলজ উদ্ভিদের নাম লিখ।

উত্তর: পাঁচটি জলজ উদ্ভিদ হলো-

১. কচুরিপানা,

২. ক্ষুদিপানা,

৩. টোপাপানা,

৪. পদ্ম, ও

৫. শাপলা।

প্রশ্ন ২০। জলজ উদ্ভিদের ২টি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।

উত্তর: জলজ উদ্ভিদের ২টি বৈশিষ্ট্য হলো-

১. মূল খুব ছোট থাকে এবং মূলরোম থাকে না।

২. বায়ুকুঠুরী থাকে বলে পানিতে ভাসে।

প্রশ্ন ২১। পানি ও মাটি উভয় জায়গাতে জন্মে এমন ২টি উদ্ভিদের নাম লিখ।

উত্তর: পানি ও মাটি উভয় জায়গাতে জন্মে এমন ২টি উদ্ভিদের নাম হচ্ছে- ১. কলমি ও ২. হেলেঞ্চা।

প্রশ্ন ২২। জলজ উদ্ভিদ কীভাবে বংশবিস্তার করে?

উত্তর: জলজ উদ্ভিদসমূহ জলজ পরিবেশে বেঁচে থাকে। এদের প্রজাতির ধারাবাহিকতা টিকিয়ে রাখার জন্য বংশবিস্তার প্রয়োজন। যেহেতু জলজ উদ্ভিদের ফুল কিংবা বংশবিস্তারক উপাদান পানিতে ভাসমান অবস্থায় থাকে সেহেতু বীজের মাধ্যমে এরা বংশবিস্তার করতে পারে না। তাই এরা অঙ্গজ উপায়ে বংশবিস্তার করে থাকে।

প্রশ্ন ২৩। জলজ উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জন্য পানি অত্যাবশ্যক কেন?

উত্তর: বেঁচে থাকার জন্য উদ্ভিদ সাধারণত মূলের মাধ্যমে পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান সংগ্রহ করে। কিন্তু জলজ উদ্ভিদগুলো সারা দেহের মাধ্যমেই পানিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান বিশেষ করে খনিজ লবণ সংগ্রহ করে থাকে। এদের পুরো দেহ যদি পানির সংস্পর্শে না আসতো তাহলে এদের বেড়ে ওঠা সম্ভব হতো না। এ কারণেই জলজ উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জন্য পানি অত্যাবশ্যক।

প্রশ্ন ২৪। জলজ উদ্ভিদের ২টি ভূমিকা লিখ।

উত্তর: জলজ উদ্ভিদের ২টি ভূমিকা নিম্নরূপ-

১. সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে অক্সিজেন তৈরি করে পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক রাখে।

২. জলজ প্রাণীদের খাদ্যভান্ডার হিসেবে কাজ করে।

প্রশ্ন ২৫। জলজ উদ্ভিদকে কেন জলজ প্রাণীদের খাদ্যভাণ্ডার বলা হয়?

উত্তর: জলজ পরিবেশে বিভিন্ন ধরনের জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ দেখা যায়। এসব জলজ উদ্ভিদ না থাকলে মাছসহ অনেক জলজ প্রাণী বাঁচতেই পারতো না। কারণ এসব জলজ প্রাণীসমূহ জলজ উদ্ভিদের পাতা, কাণ্ড, ফুল ইত্যাদিকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে জীবন ধারণ করে। এজন্য জলজ উদ্ভিদকে জলজ প্রাণীদের খাদ্যভান্ডার বলা হয়।

প্রশ্ন ২৬। জলজ উদ্ভিদের বেঁচে থাকার জন্য পানির ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর: জলজ উদ্ভিদ বলতে সেই সকল উদ্ভিদকে বোঝানো হয় যারা জলেই বসবাসের জন্য অভিযোজিত হয়েছে। জলজ উদ্ভিদগুলো সাধারণত অঙ্গজ উপায়ে বংশবিস্তার করে। কিন্তু পানি না থাকলে এই বংশবিস্তার বাধাগ্রস্ত হতো এবং এদের বিলুপ্তি ঘটতো। তাই আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য জলজ উদ্ভিদগুলোর জন্ম খুবই জরুরি এবং তাদের বেড়ে ওঠার জন্য পানির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

২.১.৪ জলজ প্রাণীর জন্য পানির প্রয়োজনীয়তা

সংক্ষিপ্ত-উত্তর প্রশ্নোত্তর


প্রশ্ন ২৭। মাছের বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে পানি গুরুত্বপূর্ণ কেন? 
উত্তর : আমরা যেমন বাতাস ও অক্সিজেন ছাড়া বাঁচতে পারি না তেমনি আমাদের সবচেয়ে পরিচিত জলজ প্রাণী মাছও অক্সিজেন ছাড়া বাঁচতে পারে না। মাছ অক্সিজেন গ্রহণ করে ফুলকার মাধ্যমে। আর মাছের ফুলকা এমনভাবে তৈরি যে এটি শুধু পানি থেকেই অক্সিজেন নিতে পারে, বাতাস থেকে নয়। এভাবে মাছের বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

প্রশ্ন ২৮। জলজ প্রাণীরা কীভাবে পানিতে বেঁচে থাকে?  

উত্তর: জলজ প্রাণীরা দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাধ্যমে পানিতে বেঁচে থাকে। আমরা যেমন বাতাস ও অক্সিজেন ছাড়া বাঁচতে পারি না, তেমনি আমাদের সুপরিচিত জলজ প্রাণী মাছও অক্সিজেন ছাড়া বাঁচতে পারে না। মাছ অক্সিজেন গ্রহণ করে ফুলকার মাধ্যমে। আর ফুলকা এমনভাবে তৈরি যে, এটি শুধু পানি থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারে। এভাবে জলজ প্রাণী পানিতে বেঁচে থাকে।

প্রশ্ন ২৯। মাছকে পানির বাইরে রাখলে মারা যায় কেন?

উত্তর: আমাদের মতো মাছেরও বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন অপরিহার্য। মাছ অক্সিজেন গ্রহণ করে ফুলকা দিয়ে, আর ফুলকা এমনভাবে তৈরি যে এটি শুধু পানি থেকেই অক্সিজেন নিতে পারে, বাতাস থেকে নয়। এ কারণেই মাছকে পানির বাইরে রাখলে প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের অভাবে মারা যায়।

প্রশ্ন ৩০। আমাদের দৈহিক বৃদ্ধির সাথে পানির সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : প্রোটিন আমাদের বেড়ে ওঠার জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। আমাদের প্রয়োজনীয় প্রোটিনের শতকরা ৮০ ভাগই আসে মাছ থেকে। কাজেই পানি না থাকলে আমরা প্রয়োজনীয় প্রোটিন পেতাম না। যার ফলে আমাদের দৈহিক বৃদ্ধি এবং অন্যান্য কোনো জৈবনিক প্রক্রিয়াই ঠিকভাবে ঘটত না।












Comments

Popular posts from this blog

বিএড ২০২২ ব্যাচের একীভূত শিক্ষা (EDBN-2402) নির্ধারিত কাজ ১

বিএড ২০২২ ব্যাচের শিখন ও শিখন যাচাই (EDBN-2401) নির্ধারিত কাজ ১

বিএড ২০২২ ব্যাচের প্রাথমিক শিক্ষা এর (EDBN-2451) নির্ধারিত কাজ ২