৯ম-১০ম শ্রেণী বিজ্ঞান ৫ম অধ্যায় জ্ঞানমূলক প্রশ্ন-উত্তর
৯ম-১০ম শ্রেণী
বিজ্ঞান
৫ম অধ্যায় দেখতে হলে আলো চাই
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন-উত্তর
৫.১ আয়না বা দর্পণের ব্যবহার
প্রশ্ন ১। দর্পণ কাকে বলে?
উত্তর: যে মসৃণ তলে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে তাকে দর্পণ বলে।
উত্তর: যে মসৃণ তলে আলোর নিয়মিত প্রতিফলন ঘটে তাকে দর্পণ বলে।
প্রশ্ন ২। নিরাপদ ড্রাইভিং-এর শর্ত কী?
উত্তর: গাড়ি নিরাপদে ড্রাইভিং করার অন্যতম শর্ত হলো নিজ গাড়ির আশেপাশে সর্বদা কী ঘটছে খেয়াল রাখা।
প্রশ্ন ৩। আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে?☆☆☆
উত্তর: আলো যখন একটি স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে লম্বভাবে আপতিত না হয়ে তির্যকভাবে আপতিত হয়, তখন মাধ্যম দুটির বিভেদ তলে এর গতিপথ পরিবর্তিত হয়। আলোক রশ্মির এভাবে দিক পরিবর্তন করার ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলে।
উত্তর: গাড়ি নিরাপদে ড্রাইভিং করার অন্যতম শর্ত হলো নিজ গাড়ির আশেপাশে সর্বদা কী ঘটছে খেয়াল রাখা।
৫.২ আলোর প্রতিসরণ
উত্তর: আলো যখন একটি স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে লম্বভাবে আপতিত না হয়ে তির্যকভাবে আপতিত হয়, তখন মাধ্যম দুটির বিভেদ তলে এর গতিপথ পরিবর্তিত হয়। আলোক রশ্মির এভাবে দিক পরিবর্তন করার ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলে।
প্রশ্ন ৪। আলোর প্রতিসরাঙ্ক কাকে বলে?
উত্তর: একজোড়া নির্দিস্ট মাধ্যম ও নির্দিস্ট রঙের আলোর জন্য আপতন কোণের সাইন এবং প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত সর্বদাই ধ্রুব থাকে। এ ধ্রুবককে আলোর প্রতিসরাঙ্ক বলে।
উত্তর: একজোড়া নির্দিস্ট মাধ্যম ও নির্দিস্ট রঙের আলোর জন্য আপতন কোণের সাইন এবং প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত সর্বদাই ধ্রুব থাকে। এ ধ্রুবককে আলোর প্রতিসরাঙ্ক বলে।
প্রশ্ন ৫। বস্তুর প্রতিসরণাঙ্ক কাকে বলে?
উত্তর: একজোড়া নির্দিষ্ট মাধ্যম ও নির্দিষ্ট রঙের আলোর জন্য আপতন কোণের সাইন(sine) ও প্রতিসরণ কোণের সাইনের (sine) অনুপাত সর্বদাই ধ্রুব থাকে, এ ধ্রুবককে বস্তুর প্রতিসরণাঙ্ক বলে।
উত্তর: একজোড়া নির্দিষ্ট মাধ্যম ও নির্দিষ্ট রঙের আলোর জন্য আপতন কোণের সাইন(sine) ও প্রতিসরণ কোণের সাইনের (sine) অনুপাত সর্বদাই ধ্রুব থাকে, এ ধ্রুবককে বস্তুর প্রতিসরণাঙ্ক বলে।
প্রশ্ন ৬। আপতন কোণ কাকে বলে?
উত্তর: আলোর প্রতিসরণের আপতিত রশ্মি এবং অভিলম্বের মধ্যবর্তী কোণকে আপতন কোণ বলে। আপতন কোণকে i দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
উত্তর: আলোর প্রতিসরণের আপতিত রশ্মি এবং অভিলম্বের মধ্যবর্তী কোণকে আপতন কোণ বলে। আপতন কোণকে i দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
প্রশ্ন ৭। আলোর প্রতিসরণের ২য় সূত্রটি বিবৃতি কর।
উত্তর: আলোর প্রতিসরণের ২য় সূত্রটি হলো-
একজোড়া নির্দিষ্ট মাধ্যম এবং নিদিষ্ট বর্ণের আলোকরশ্মির জন্য আপতন কোণের সাইন এবং প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত সর্বদাই ধ্রুব থাকে।
উত্তর: আলোর প্রতিসরণের ২য় সূত্রটি হলো-
একজোড়া নির্দিষ্ট মাধ্যম এবং নিদিষ্ট বর্ণের আলোকরশ্মির জন্য আপতন কোণের সাইন এবং প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত সর্বদাই ধ্রুব থাকে।
প্রশ্ন ৮। অভিলম্ব কী?
উত্তর: আপতিত রশ্মি বিভেদ তলের যে বিন্দুতে আপতিত হয় সেই বিন্দু হতে দুই মাধ্যমের উপর অঙ্কিত লম্বকেই বলা হয় অভিলম্ব।
উত্তর: আপতিত রশ্মি বিভেদ তলের যে বিন্দুতে আপতিত হয় সেই বিন্দু হতে দুই মাধ্যমের উপর অঙ্কিত লম্বকেই বলা হয় অভিলম্ব।
প্রশ্ন ৯। বিভেদতল কী?
উত্তর: দুটি ভিন্ন মাধ্যম যেখানে মিলিত হয় তাকে বিভেদ তল বলে।
উত্তর: দুটি ভিন্ন মাধ্যম যেখানে মিলিত হয় তাকে বিভেদ তল বলে।
প্রশ্ন ১০। প্রতিসরণ কোণ কী?
উত্তর: আলোর রশ্মি প্রতিসরণের প্রতিসরিত রশ্মি অভিলম্বের সাথে যে কোণ উৎপন্ন - করে তাকে প্রতিসরণ কোণ বলে। প্রতিসরণ কোণ r দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
প্রশ্ন ১১। আলোর প্রতিসরণের প্রথম সূত্রটি কী?
উত্তর: আলোর প্রতিসরলের ১ম সূত্রটি হলো- আপতিত রশ্মি, আপতন বিন্দুতে বিভেদতলের উপর অঙ্কিত অভিলম্ব এবং প্রতিসরিত রশ্মি একই সমতলে থাকে।
উত্তর: আলোর রশ্মি প্রতিসরণের প্রতিসরিত রশ্মি অভিলম্বের সাথে যে কোণ উৎপন্ন - করে তাকে প্রতিসরণ কোণ বলে। প্রতিসরণ কোণ r দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
প্রশ্ন ১১। আলোর প্রতিসরণের প্রথম সূত্রটি কী?
উত্তর: আলোর প্রতিসরলের ১ম সূত্রটি হলো- আপতিত রশ্মি, আপতন বিন্দুতে বিভেদতলের উপর অঙ্কিত অভিলম্ব এবং প্রতিসরিত রশ্মি একই সমতলে থাকে।
৫.৩ লেন্স
প্রশ্ন ১২। লেন্স কী? ☆☆☆উত্তর: লেন্স হলো দুটি গোলীয় পৃষ্ঠ দ্বারা সীমাবন্ধ স্বচ্ছ প্রতিসারক মাধ্যম।
প্রশ্ন ১৩। ফোকাস দূরত্ব কী?
উত্তর: লেন্সের আলোক কেন্দ্র হতে প্রধান ফোকাস পর্যন্ত দূরত্বই হলো ফোকাস দূরত্ব।
উত্তর: লেন্সের আলোক কেন্দ্র হতে প্রধান ফোকাস পর্যন্ত দূরত্বই হলো ফোকাস দূরত্ব।
প্রশ্ন ১৪। প্রধান ফোকাস কাকে বলে?
উত্তর: লেন্সের প্রধান অক্ষের সমান্তরাল এবং নিকটবর্তী রশ্মিগুচ্ছ প্রতিসরণের পর প্রধান অক্ষের যে বিন্দুতে মিলিত হয় বা যে বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয় সেই বিন্দুকে লেন্সের প্রধান ফোকাস বলে।
উত্তর: লেন্সের প্রধান অক্ষের সমান্তরাল এবং নিকটবর্তী রশ্মিগুচ্ছ প্রতিসরণের পর প্রধান অক্ষের যে বিন্দুতে মিলিত হয় বা যে বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয় সেই বিন্দুকে লেন্সের প্রধান ফোকাস বলে।
প্রশ্ন ১৫। বক্রতার কেন্দ্র কী?
উত্তর: লেন্সের পৃষ্ঠসমূহ যে গোলকের অংশ তার কেন্দ্রকে বক্রতার কেন্দ্র বলে।
উত্তর: লেন্সের পৃষ্ঠসমূহ যে গোলকের অংশ তার কেন্দ্রকে বক্রতার কেন্দ্র বলে।
৫.৩.১ ও ৫.৪ লেন্সের ক্ষমতা ও চোখের ক্রিয়া
উত্তর: একগুচ্ছ সমান্তরাল আলোকরশ্মিকে কোনো লেন্সের অভিসারী গুচ্ছে (উত্তল লেন্সে) বা অপসারী গুচ্ছে (অবতল লেন্সে) পরিণত করার প্রবণতাকে লেন্সের ক্ষমতা বলে।
প্রশ্ন ১৭। লেন্সের ক্ষমতার এস.আই একক কী?
উত্তর: লেন্সের ক্ষমতার এস. আই একক হলো রেডিয়ান/মিটার।
উত্তর: লেন্সের ক্ষমতার এস. আই একক হলো রেডিয়ান/মিটার।
প্রশ্ন ১৮। ভিট্রিয়াস হিউমার কী?
উত্তর: রেটিনা ও চক্ষু লেন্সের মধ্যবর্তী স্থান যে জেলি জাতীয় পদার্থে পূর্ণ থাকে তাকে ভিট্রিয়াস হিউমার বলে।
উত্তর: রেটিনা ও চক্ষু লেন্সের মধ্যবর্তী স্থান যে জেলি জাতীয় পদার্থে পূর্ণ থাকে তাকে ভিট্রিয়াস হিউমার বলে।
প্রশ্ন ১৯। ডাইঅপ্টার কী?
উত্তর: ডাইঅপ্টার হলো লেন্সের ক্ষমতার প্রচলিত একক।
উত্তর: ডাইঅপ্টার হলো লেন্সের ক্ষমতার প্রচলিত একক।
৫.৪.২ ও ৫.৪.৩
স্পষ্টদৃষ্টির ন্যূনতম দূরত্ব, চোখের ত্রুটি এবং তার প্রতিকার
উত্তর: চোখের সাপেক্ষে সবচেয়ে নিকটের যে বিন্দু পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুকে বিনা শ্রান্তিতে চোখে স্পষ্ট দেখা যায়, তাকে স্পষ্ট দৃষ্টির নিকট বিন্দু বলে।
প্রশ্ন ২১। স্পষ্ট দৃষ্টির ন্যূনতম দূরত্ব কত?
উত্তর: চোখের সবচেয়ে কাছে যে বিন্দু পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুকে খালি চোখে স্পষ্ট দেখা যায়, তাকে স্পষ্ট দৃষ্টির নিকট বিন্দু বলে এবং চোখ থেকে ঐ বিন্দুর দূরত্বকে স্পষ্ট দৃষ্টির ন্যূনতম দূরত্ব বলে।
প্রশ্ন ২২। চালশে কী?
উত্তর: চল্লিশোর্ধ ব্যক্তির ক্ষেত্রে চোখের যে ত্রুটি দেখা দেয় তাই চালশে।
উত্তর: চল্লিশোর্ধ ব্যক্তির ক্ষেত্রে চোখের যে ত্রুটি দেখা দেয় তাই চালশে।
প্রশ্ন ২৩। হ্রস্বদৃষ্টি বা মাইওপিয়া কী?
উত্তর : চোখের যে ক্রুটির জন্য চোখ কাছের বস্তু দেখতে পায় বিলু দূরের বস্তু দেখতে পায় না তাকে হ্রস্বদৃষ্টি বা ক্ষীণদৃষ্টি বা মাইওপিয়া বলে।
উত্তর : চোখের যে ক্রুটির জন্য চোখ কাছের বস্তু দেখতে পায় বিলু দূরের বস্তু দেখতে পায় না তাকে হ্রস্বদৃষ্টি বা ক্ষীণদৃষ্টি বা মাইওপিয়া বলে।
প্রশ্ন ২৪। দীর্ঘদৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া কী?
উত্তর: চোখের যে ক্রুটির জন্য চোখ দূরের বন্ধু দেখে কিন্তু কাছের বস্তু দেখতে পায় না তাকে দীর্ঘদৃষ্টি বা দূর দৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া বলে।
উত্তর: চোখের যে ক্রুটির জন্য চোখ দূরের বন্ধু দেখে কিন্তু কাছের বস্তু দেখতে পায় না তাকে দীর্ঘদৃষ্টি বা দূর দৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া বলে।
Comments
Post a Comment