৯-১০ম শ্রেণী রসায়ন ২য় অধ্যায় জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
নবম-দশম শ্রেণী রসায়ন
দ্বিতীয় অধ্যায় পদার্থের অবস্থা
রসায়ন ২য় অধ্যায় জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১ঃ আন্তঃআণবিক শক্তি কাকে বলে?
উত্তরঃ পদার্থের অণুসমূহের মধ্যকার আকর্ষণ শক্তিকে আন্তঃআণবিক শক্তি বলে।
প্রশ্ন ২ঃ গলনাঙ্ক কাকে বলে?
উত্তর: স্বাভাবিক চাপে (1 atm) যে তাপমাত্রায় কোনো কঠিন পদার্থ তরলে পরিণত হয় সেই তাপমাত্রাকে সেই পদার্থের গলনাঙ্ক বলে।
প্রশ্ন ৩ঃ নিঃসরণ কাকে বলে?
উত্তর: সরু ছিদ্রপথে কোনো গ্যাসের অণুসমূহের উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়াকে নিঃসরণ বলে।
প্রশ্ন ৪ঃ ব্যাপন কী?
উত্তর: ব্যাপন হলো কোনো মাধ্যমে কঠিন, তরল বা গ্যাসীয় বস্তুর স্বতঃস্ফূর্ত ও সমভাবে পরিব্যাপ্ত হওয়ার প্রক্রিয়া।
প্রশ্ন ৫ঃ উর্ধ্বপাতন কী?
উত্তরঃ যদি কঠিন পদার্থকে তাপ দিলে তা সরাসরি গ্যাসে পরিণত হয় এবং ঠান্ডা করলে তা সরাসরি কঠিনে রূপান্তরিত হয় তবে উক্ত প্রক্রিয়াকে উর্ধ্বপাতন বলে।
প্রশ্ন ৬ঃ মোম কী?
উত্তরঃ মোম হচ্ছে উচ্চতর অ্যালকেন যা স্বাভাবিক তাপমাত্রা ও চাপে কঠিন।
প্রশ্ন ৭ঃ ঘনীভবন কাকে বলে?
উত্তর: তাপ প্রয়োগে তরলকে বাষ্প এবং তাপ হ্রাস করে বাম্পকে তরলে পরিণত করার প্রক্রিয়াকে ঘনীভবন বলে।
প্রশ্ন ৮ঃ স্ফুটনাঙ্ক কি?
উত্তর: স্বাভাবিক চাপে (1 atm) যে তাপমাত্রায় কোনো তরল পদার্থ গ্যাসীয় অবস্থা প্রাপ্ত হয় সে তাপমাত্রাকে উক্ত পদার্থের স্ফুটনাঙ্ক বলা হয়।
প্রশ্ন ৯ঃ পাতন কাকে বলে?
উত্তর: কোনো তরলকে তাপ প্রদানে বাষ্পে পরিণত করে তাকে পুনরায় শীতলীকরণের মাধ্যমে তরলে পরিণত করার পদ্ধতিকে পাতন বলে।
প্রশ্ন ১০ঃ বাষ্পীভবন কাকে বলে?
উত্তর: কোনো তরলকে তাপ প্রদান করে বাষ্পে পরিণত করার প্রক্রিয়াকে বাষ্পীভবন বলে।
প্রশ্ন ১১ঃ স্ফুটন কী?
উত্তর: তাপ প্রয়োগ করে তরলকে গ্যাসে রূপান্তর করার প্রক্রিয়াকে স্ফুটন বলে।
প্রশ্ন ১২ঃ কোন ধরনের পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন আছে?
উত্তর: কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন আছে।
প্রশ্ন ১৩ঃ কোন পদার্থের আন্তঃআণবিক দূরত্ব সবচেয়ে কম থাকে?
উত্তর: কঠিন পদার্থের আন্তঃআণবিক দূরত্ব সবচেয়ে কম থাকে।
প্রশ্ন ১৪ঃ পদার্থের কোন অবস্থায় অণুসমূহের মধ্যকার আকর্ষণ শক্তি অত্যন্ত নিম্নমানের হয়?
উত্তর: গ্যাসীয় অবস্থায় অণুসমূহের মধ্যকার আকর্ষণ শক্তি অত্যন্ত নিম্নমানের হয়।
প্রশ্ন ১৫ঃ তাপমাত্রা পরিবর্তনে পদার্থের অণুর গঠনের কী ধরনের পরিবর্তন সাধিত হয়?
উত্তর: তাপমাত্রা পরিবর্তনে পদার্থের অণুর গঠনের কোনো পরিবর্তন হয় না।
প্রশ্ন ১৬ঃ গ্যাসীয় অবস্থায় পদার্থের কণাসমূহ কিভাবে অবস্থান করে?
উত্তর: গ্যাসীয় অবস্থায় পদার্থের কণাসমূহ একে অন্যের কাছ থেকে যথেষ্ট দূরে অবস্থান করে।
প্রশ্ন ১৭ঃ পদার্থের কণাসমূহের গতিশীলতা কোনটির মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা যায়?
উত্তর: পদার্থের কণাসমূহের গতিশীলতা কণার গতিতত্ত্বের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা যায়
প্রশ্ন ১৮ঃ তরল কোন শর্তে গ্যাসে পরিণত হয়?
উত্তর: তরলকে তাপ দিলে তা স্ফুটনাকে পৌঁছে এবং গ্যাসীয় অবস্থায় পরিণত হয়।
প্রশ্ন ১৯ঃ কঠিন পদার্থ কোন তাপমাত্রায় তরলে পরিণত হয়?
উত্তর: কঠিন পদার্থে তাপ দিলে তা গলনাঙ্কে পৌছালে তরলে পরিণত হয়।
প্রশ্ন ২০ঃ পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট কোন বর্ণের?
উত্তর: পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট হালকা গোলাপি।
প্রশ্ন ২১ঃ পাকা কাঁঠালের গন্ধ ঘরময় ছড়িয়ে পড়ে কোন প্রক্রিয়ায়?
উত্তর: ব্যাপন প্রক্রিয়ায় পাকা কাঁঠালের গন্ধ ঘরের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
প্রশ্ন ২২ঃ ব্যাপন প্রক্রিয়াটির উপর কোন নিয়ামকের প্রভাব নেই?
উত্তর: ব্যাপন প্রক্রিয়াটির উপর চাপের প্রভাব নেই।
প্রশ্ন ২৩ঃ তাপমাত্রা বাড়ালে ব্যাপন হারের কিরূপ পরিবর্তন ঘটে?
উত্তর: তাপমাত্রা বাড়ালে ব্যাপন হার দ্রুত হয়।
প্রশ্ন ২৪ঃ সুপার হিটেড ওয়াটার কাকে বলে?
উত্তর: অতিরিক্ত চাপে 100°C থেকে 374°C তাপমাত্রার মধ্যবর্তী যেকোনো তাপমাত্রার পানিকে সুপার হিটেড ওয়াটার বলে।
প্রশ্ন ২৫ঃ তাপ প্রয়োগে কঠিন থেকে গ্যাসে পরিণত হয় এমন দুটি পদার্থের নাম লিখ।
উত্তর: তাপ প্রয়োগে কঠিন থেকে গ্যাসে পরিণত হয় এমন দুটি পদার্থ হলো- আয়োডিন ও কপূর।
প্রশ্ন ২৬ঃ মোমের দহন বিক্রিয়াটি লিখ।
উত্তর: মোম + O2(g) → CO2(g) + H2O(g) + তাপ + আলো
প্রশ্ন ২৭ঃ NaCl এর গলনাঙ্ক কত?
উত্তর: NaCl এর গলনাঙ্ক 801 °C।
প্রশ্ন ২৮ঃ শুষ্ক বরফ কী?
উত্তর: কঠিন CO₂ কে শুদ্ধ বরফ বলে।
প্রশ্ন ২৯। কপূরের সংকেত লিখ।
উত্তর: কপূরের সংকেত হচ্ছে- C10H16O ;

Comments
Post a Comment